বান্দরবন জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ, যেভাবে যাবেন এবং কত টাকা বাজেট করবেন?

বান্দরবন চট্টগ্রাম জেলার একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি একটি পার্বত্য জেলা। যা বাংলাদেশের দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।

এই পার্বত্য জেলা তার প্রাকৃতিক সুন্দর আর দর্শনীয় স্থান  হিসেবে বেশ খ্যাত।

বান্দরবন জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ:

আমিয়াখুম জলপ্রপাত

আমিয়াখুম একটি পাহাড়ি ঝর্ণা যেটি বান্দরবন এর থানচি তে অবস্থিত । পাথর আর সবুজে ঘেরা পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে প্রবল বেগে নেমে আসছে জল্ধারা। সঙ্গে অবিরাম চলছে জলধারার পতন আর প্রবাহের শব্দতরঙ্গ। যা পর্যটক কে আরও উৎফুল্ল ও উজ্জীবিত করে দেয়।

কেওক্রাডাং

কেওক্রাডাং বান্দরবন জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। কেওক্রাডাং এর উচ্চতা নিয়ে বেশ কয়েকটি মন্তব্য থাকলেও পরবর্তী তে  এর উচ্চতা ৮৮৩ মিটার বলে পরিমাপ করা হয়েছে।  এই ৮৮৩ মিটারের কেওক্রাডাং পাহাড় পর্যটক এলাকা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।                               

 

চিম্বুক পাহাড়

বান্দরবন জেলায় অবস্থিত দেশের তৃতীয় বৃহত্তম  পাহাড়  এবং ঐতিহাসিক স্থান এই চিম্বুক পাহাড় । এটি থানচি সড়কের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত। এটি গড় সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ২৫০০ফুট উঁচু। এটি বাংলাদেশের পাহাড়ি সুন্দরের রানী এবং বাংলার দার্জিলিং নামেও বহুল পরিচিত।

জাদিপাই ঝর্ণা

জাদিপাই ঝর্ণাও রুমা উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রশস্ততম ঝর্ণা গুলোর মধ্যে একটি। এই কারনে এটি  অন্যতম আকর্ষণীয় জলপ্রপাত । অন্যান্য সময় এবং ঝর্ণার মত বর্ষাকালে এই ঝর্ণার পানি প্রবাহ  বেড়ে যাই ।

ডিম পাহাড়

ডিম পাহাড় বান্দরবন জেলায় অবস্থিত একটি পাহাড়। পাহাড়টি আলিকদম এবং থানচি উপজেলার ঠিক মাঝখানে অবস্থিত।  এই পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে সমুদ্র পৃষ্ট থেকে আড়াই হাজার ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু রাস্তা। এই পাহাড় চূড়ার আকৃতি ডিমের মতো হওয়াই স্থানীয়রা এই পাহাড়ের নাম দিয়েছে ডিম পাহাড়।

তমা তুঙ্গী

তমা তুঙ্গী বাংলাদেশের জেলার থান চিতে অবস্থিত একটি পর্যটন কেন্দ্র। ২০২১ সালে ৯ ডিসেম্বর আনুষ্টানিকভাবে এটি উদ্বোধন করা হয়।

তাজিংডং

এটিও বান্দরবন  তথা বাংলাদেশের একটি পর্বতশৃঙ্গ। সবচেয়ে  উঁচু পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডাং কে বলা হলেও বর্তমানে তাজিংডংকে সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ বলা হয় ।

দেবতাখুম

এটি বান্দরবন জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলায় অবস্থিত। দেবতাখুম বান্দরবন জেলার একটি প্রাকৃতিক    মণ্ডিত জায়গা। এখানে দুইপাশে উঁচু পাহাড়ের মাঝখানে স্বচ্ছ পানি প্রবাহিত হতে থাকে। এটি পর্যটক দের জন্য একটি আকর্ষণীয় জায়গা ।

নাফাখুম জলপ্রপাত

আমিয়াখুম জলপ্রপাতের পরই বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জলপ্রপাত হিসেবে ধরা হয়। অনিন্দ্য সুন্দর এই জলপ্রপাতটি রেমাক্রি থেকে মাত্র আড়াই ঘণ্টা হাঁটার পথ দূরত্বে অবস্থিত।

 নীলগিরি

সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ২২০০ ফুট উচ্চে অবস্থানের কারণে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র সর্বদা মেঘমন্ডিত আর এটাই এই পর্যটন কেন্দ্রের বিশেষ আকর্ষণ । একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে নীলগিরি ধীরে ধীরে দেশব্যাপী মানুষের কাছে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

নীলাচল

বান্দরবন শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়ার পাহাড়চূড়ায় গড়ে তোলা হয়েছে এই আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র ।

নীলাচল থেকে সমগ্র বান্দরবন শহর একনজরে দেখা যায়। মেঘমুক্ত আকাশে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের  অপূর্ব দৃশ্য নীলাচল থেকে পর্যটকেরা উপভোগ  করতে পারেন। নীলাচলে বাড়তি আকর্ষণ হল এখানকার নীল রঙ এর রিসোর্ট। নাম নীলাচল স্কেপ রিসোর্ট। সাধারণ  পর্যটকদের জন্য এ জায়গায় সূর্যাস্ত পর্যন্ত অনুমতি আছে।

Add a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।